, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


হত্যার ৭ দিনের মাথায় আসামিদের জামিন, বিচারককে জুতা নিক্ষেপ বাদীর

  • আপলোড সময় : ১১-১২-২০২৩ ০৭:২২:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১২-২০২৩ ০৭:২২:২৪ অপরাহ্ন
হত্যার ৭ দিনের মাথায় আসামিদের জামিন, বিচারককে জুতা নিক্ষেপ বাদীর
এবার পঞ্চগড় আদালতে হত্যা মামলার আসামিদের জামিন দেয়ায় বিচারকের প্রতি জুতা নিক্ষেপ করেছে মামলার বাদী। সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে জমি যায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৫ ডিসেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মিনারা আক্তার। 

আজ সোমবার ১১ ডিসেম্বর দুপুরে মামলার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে। আসামিদের জামিন দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারকের প্রতি জুতা নিক্ষেপ করেন মামলার বাদী মিনারা আক্তার। এ ঘটনায় আদালতে হট্টগোল শুরু হয়। 

জানা গেছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দুই ভাইয়ের মধ্যে। গত ৫ ডিসেম্বর ওই বিরোধের জের ধরে কিল-ঘুষিতে ছোট ভাই আব্দুল মমিন (৬৫) এর হাতে বড় ভাই ইয়াকুব আলীর (৮৩) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ইয়াকুব আলীর মেয়ে মিনারা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 ওই মামলায় সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড় ১ এ ১৫ জন আসামি জামিন আবেদন করেন। এই আদালতের বিচারক অলরাম কাজী সকল আসামিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাদী পক্ষ।

এক পর্যায়ে আদালতে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় বাদী মিনারা আক্তার ন্যায় বিচার না পেয়ে বিচারকের উদ্দেশ্যে জুতা নিক্ষেপ করেন। আদালতের পুলিশ মিনারাকে আটক করে হেফাজতে নেন। এতে পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। 

এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান জানান, এই মামলার বিজ্ঞ বিচারক সাধারণ মামলাগুলোর আসামিদের জামিন দেয় না। কিন্তু ৩০২ ধারার একটি হত্যা মামলার আসামিদের কিভাবে জামিন দিল এটা বোঝা যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডের ৭ দিনের মাথায় আসামিরা জামিন পায় আইনজীবী হিসেবে এটা আমরা কখনো দেখি নাই।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রাকিব হোসেন জানান, এই মামলার ৪ থেকে ১৫ নং পর্যন্ত আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে। আমি আসামিদের কাছে শুনেছি, এটা হত্যাকাণ্ড নয় বিরোধের সময় ইয়াকুব আলী হার্ড অ্যাটাক করে মারা গেছেন, প্রতিপক্ষকে হয়রানী করতে তারা হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

এই মামলায় দুরের আত্মীয় স্বজনসহ একাধিক নিরপরাধ নারী রয়েছে যারা ঘটনার সময় ছিলেন না। আদালত সব কিছু বিবেচনা করেই ৪ থেকে ১৫ জন আসামিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে বাদী বিচারকের উদ্দেশ্যে জুতা নিক্ষেপ করেছে, যা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। 

এদিকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী, বলেন আদালতে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করবো।
সর্বশেষ সংবাদ